ভুয়া ‘পে স্কেল সুপারিশপত্র’ ভাইরাল: জাতীয় বেতন কমিশনের সতর্কতা
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কথিত নতুন পে স্কেল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৫ পৃষ্ঠার ‘সুপারিশপত্র’কে সম্পূর্ণ ভুয়া বলে জানিয়েছে জাতীয় বেতন কমিশন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই নথিতে ২০ গ্রেডের নতুন বেতন কাঠামো, ইনক্রিমেন্ট, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কমিশন বলছে—এগুলো কমিশনের তৈরি বা অনুমোদিত কোনো নথি নয়।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেতনস্কেলের খসড়া এখনো তৈরি হয়নি। কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়নি এবং কমিশন থেকে কোনো নথি প্রকাশ বা ফাঁসও করা হয়নি। অথচ প্রচারিত নথিতে কমিশনের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তাদের ভাষায়—এসব তথ্য “ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক এবং সরকারি চাকরিজীবীদের বিভ্রান্ত করার জন্য তৈরি।”
বেতন কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আলী খান বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো ১৫ পৃষ্ঠার যে নথি, তা কমিশনের নয়। আমাদের কাছে এমন কোনো কাগজ নেই। এগুলো ভুয়া এবং বিভ্রান্তিকর।” তিনি জানান, কমিশন দ্রুতই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়ার প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি, আর আগামী সোমবার সচিবদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। ফলে এ পর্যায়ে কোনো সুপারিশ চূড়ান্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
এদিকে নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে চাকরিজীবীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনা। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সম্প্রতি জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন সরকারই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এতে ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারীরা বলছেন—যেহেতু পে কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, তাই তাদের আমলেই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করতে হবে।
চাকরিজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন ঘোষণা দিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
0 Comments